নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু বাজার শ্রী-শ্রী দুর্গা মন্দিরে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপযাপিত হচ্ছে। দুর্গোৎসবের মহানবমী ও দশমী শেষে রবিবার দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হবে সনাতনীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
শনিবার রাতে মহানবমীর দিনে সীমান্ত ঘেঁষা জনপদের সনাতনীদের একমাত্র পূজা মণ্ডপটি পরিদর্শন করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ। তার মধ্যে বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল রাতে মণ্ডপটি পরিদর্শন করেন।
শনিবার রাত ৯ টারদিকে তুমব্রু বাজার দুর্গা মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির (তদন্ত) কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ধর্মজিৎ সিংহ।
এছাড়াও স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহজাহান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার, রশিদ আহমদ, শাহ আলম, শাকিল, নুরুল আবসার, শফিক, ঘুমধুম ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মিজানুল বশর মিজান প্রমুখ সহ বিএনপি, অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
দুর্গোৎসবে পূজার্থীদের উদ্দেশ্য শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও উপজাতিরা আমাদের রাজনীতিতে জাতগত কোন ভেদাভেদ নাই। আমাদের পরিচয় বাঙালি। একে অপরের ভাই ভাই।
তিনি বলেন, সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করা, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দান ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সকলে মিলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।
দুর্গা মন্দির ও পূজামণ্ডপ পরিদর্শন কালে ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির (তদন্ত) কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ধর্মজিৎ সিংহ বলেন, দুর্গোৎসবে সার্বিক নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ সার্বক্ষণিক তা মনিটরিং ও নিরাপত্তা নিশ্চিত সজাগ রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ মাঠে থাকবে।
পাঠকের মতামত: